বরগুনা প্রতিনিধি ॥ বরগুনা সদর উপজেলার ৮ নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করিয়ে কতিপয় সদস্যর সহযোগিতায় প্রকল্পের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ, করোনার প্রথম ধাপের বরাদ্দ প্রায় ৮০ হাজার টাকার ভুয়া ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাৎসহ দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৫ জন সদস্য। সোমবার (৩ মে) বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান, আল-মামুন বাচ্চু, রিয়াজুল করিম মনির, পনু মৃধা, নায়েব গোলাম মোস্তফা অরুন। সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি সদস্য নায়েব গোলাম মোস্তফা অরুন উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে চেয়াারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বিভিন্ন প্রকল্পের ভুয়া ভাউচার তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করেন। আমরা অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাইনি। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রাম আদালতের এজলাস নির্মাণ না করে, অন্য একটি ছবি এনে, কাজ না করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন গোলাম আহাদ সোহাগ। তার বিরুদ্ধে ৪টি প্রকল্পের বরাদ্দ ১৪ টন চালের কোন কাজ না করিয়ে কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ করা হয়। লিখিত অভিযোগে ২৪ টি প্রকল্পের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়, কোনও কাজ না করিয়ে এই সকল প্রকল্পের অর্থ ভুয়া মাস্টার রোল দিয় আত্মসাৎ করা হয়। চেয়াারম্যানের দুর্নীতি আর অর্থ আত্মসাৎয়ে ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, এনায়েত হোসেন ও সুফিয়া বেগম সহযোগিতা করছে বলেও সংবাদ সন্মেলনে ইউপি সদস্যরা দাবী করেন। সংবাদ সন্মেলনে তার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের অভিযোগ মনগড়া, ভিত্তিহীন দাবি করে চেয়াারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ বলেন, শিশু খাদ্য ক্রয়ের টাকা এখনো ব্যায় হয়নি। শীর্ঘই আমরা শিশু খাদ্য আমরা বিতরন করবো। যারা সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করেছে, তারা বিভিন্ন সময় আর্থিক সুবিধা নিতে না পারায় তার বিরুদ্বে অভিযোগ করেছে।
Leave a Reply